নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার কাইকারটেক হাটের টেন্ডার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নাহুসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ ও ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর মামলাটি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ জন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন, রবিউল হোসাইন, রোমান, হৃদয়, অনিক, আলামিন ও শান্ত।
(১৭ ফেব্রুয়ারী) রাত ১১ টায় সংঘর্ষে আহতের শিকার সিরাজুল ইসলাম সজল বাদী হয়ে লিখিত আকারে অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগে নান্নু ছাড়া যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুম বাবু, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শিপন মেম্বার, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এস.কে সজিব, সুমন, নূরে আলম, শফিকুল ইসলাম সাগর, হৃদয় প্রধান, অনিক প্রধান, আল আমিন, রোমান বাদশা, রবিউল, মলিন, শান্ত, পায়েল, রানা, রক্সি ও মামুন।
মামলার সুত্রে জানা গেছে, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী কাইকারটেক হাটটি ইজারা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সমর্থক রোমান বাদশা হাট পরিচালনা করে আসছিল। গতকাল বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সোহাগ রনির সমর্থক মামলার বাদী সজল মিয়া তার লোকজন ওই হাটের দরপত্র জমা দিলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নান্নুর পন্থি ও মোগরাপাড়া নিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সজিব , যুবলীগ কর্মী সাগর, হৃদয়, অনিক, পলাশ, পায়েল সহ ২০/২৫ জনের একদল যুবলীগের নেতাকর্মীরা এসে বাধা দেন এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে নান্নু অন্যান্য আসামীদের হুমকি দিয়া বলে সালাগো জীবনের লেইগা টেন্ডার ফেলতে বাঁধা দেয়। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সোহাগ রনির সমর্থক শেখ মেহেদী হাসান, সজল মিয়া, জাবেদ মিয়া, পারভেজ মিয়া, রানা , মিরাজ হোসেন, আব্দুল আলী ও বাবু সহ ১২ জন আহত হয়। একপর্যায়ে আসামিরা যাওয়ার সময় বলতে থাকে মামলা করলে বাসায় আগুন জালিয়ে দিবে। আহতদের উদ্ধার করে জনগণ সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) হাফিজুল ইসলাম জানান, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইত্যিমধ্যে ৬ জন আসামী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বিস্তারিত পরে জানানো হবে ।